ডোমেইন সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু জেনে নিন

 ডোমেইন সম্পর্কে জানুন- নিজেকে আপডেট রাখুন




১. ডোমেইন কি?

-- ডোমেইন হলো শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের নাম আর কিছু না। যেমনঃ www. Facebook. com এটা ফেসবুকের ডোমেইন। মানুষের যেমন নাম থাকে। ওয়েবসাইটেরও নাম থাকে। এই নামকেই ডোমেইন বলা হয়।

২. সবাই এতো ডোমেইনের কথা বলে কেন ? ডোমেইন দিয়ে কি হবে? ডোমেইন না থাকলেই বা কি সমস্যা?

-- এই প্রশ্নের উত্তর পুরো পোস্ট পড়লে বুঝে যাবেন। আগে চলুন ফেসবুক বিজনেস পেইজ সম্পর্কে জানি।

৩. ফেসবুক বিজনেস পেইজ কি?

-- আপনার ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে যেই পেইজ খুলেছেন সেটাই ফেসবুক বিজনেস পেইজ। পেইজে আপনি আপনার পণ্যের ছবি সহ বর্ণনা করে পোস্ট করেন। যাদের পণ্যটির চাহিদা আছে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করে কিনে নিচ্ছেন।

৪. অনেকে বলে ফেসবুকে পেইজ খোলার আগে ডোমেইন কিনতে। কেন বলে?

-- ফেসবুকে যে বিজনেস পেইজ খুলেছেন সেটা হলো ফেসবুকের প্লাটফর্ম। আপনার প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে আছে ফেসবুকের উপর। একটু ভেবে দেখুনতো, যদি ফেসবুক আপনার পেইজ বন্ধ করে দেয়। কিংবা আপনার আইডি ডিজেবল করে দেয়। তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের কি হবে। যেহেতু আপনি অনলাইন নির্ভর প্রতিষ্ঠান। এখন যদি আপনার একটা ওয়েবসাইট থাকে সেটা হবে আপনার নিজস্ব প্লাটফর্ম। আপনিই মালিক। কারো প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে নাই। যেই নামে আপনি পেইজ খুলতে চাইছেন ধরুন পেইজের নাম- প্যারাডাইস প্যারা। এখন আগে দেখুন যে এই নামে কোনো ওয়েবসাইট আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে আর খুলতে পারবেন না একই নামে। ফেসবুকে একই নামে অনেক পেইজ খোলা যায় কিন্তু ওয়েবসাইট একটাই খোলা যায়।

ধরুন আপনি ডোমেইন না কিনেই পেইজ ওপেন করলেন। প্যারাডাইস প্যারা পেইজ দিয়ে ভালোই ব্যবসা করছেন। হঠাৎ আপনার আইডি নষ্ট হয়ে গেলো বা পেইজ বন্ধ হয়ে গেলো। এখন তাহলে কি করবেন। ডোমেইন কিনতে গিয়ে দেখলেন সেই ডোমেইন আরেকজন কিনে নিয়েছে অনেক আগে। আপনার প্রতিষ্ঠানকে সবাই প্যারাডাইস প্যারা নামে চিনে। এখন কেউ আপনাকে খুঁজে পাচ্ছে না। আপনি এই অবস্থায় এলোমেলো হয়ে যাবেন। তাই যেই নামে পেইজ খুলতে চাইছেন আগে দেখুন যে সেই নামে ডোমেইন খালি আছে কিনা। এতে করে সুবিধা হলো আপনি সাথে সাথে ওয়েবসাইট চালু করতে পারেন। যারা আপনার নিয়মিত ক্রেতা তারা ঠিকই তখন প্রতিষ্ঠানের নামে সার্চ করে আপনাকে খুঁজে নিতে পারবে। আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি পেইজ এবং ওয়েবসাইট একই সাথে চালান। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটেও যদি অডিয়েন্সকে এনগেজড করতে পারেন লাভ আপনারই।

৪. ডোমেইন কিনলেই কি আমার ওয়েবসাইট চালু হয়ে যাবে?

-- না। আগেই বলেছি ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের নাম। যেমন আপনি বাড়ি বানাবেন। তার জন্য বুকিং দিয়ে রাখা যে এটা আপনার জায়গা। এখানে আপনি বাড়ি বানাবেন। এখন ডোমেইনের সুবিধা হলো ওয়েবসাইট আপনি যখনই বানান সমস্যা নাই। কিন্তু বুকিং দিয়ে রাখেন। বুকিং দিলে এই নাম আর কেউ পাবেনা। যদি মনে করেন এক দুই বছর পরে ওয়েবসাইট বানাবেন তাতেও সমস্যা নাই। প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট চার্জ দিলেই ডোমেইন আপনারই থেকে যাবে। ডোমেইন মানেই ওয়েবসাইট চালু হওয়া না। ডোমেইন শুধুমাত্র একটা নাম।

৫. তাহলে ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো?

-- জায়গার জন্য বুকিং দিয়েছেন কিন্তু জায়গা এখনো কিনেন নাই। এই জায়গা কেনাকে বলা হয় হোস্টিং। আপনি ডোমেইন কিনেছেন। এবার হোস্টিং কিনবেন। এরপর ওয়েবসাইট বানাবেন ওয়েব ডিজাইনার দিয়ে। একেকজন একেক রকম চার্জ করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে। ডোমেইন হলো নাম+ হোস্টিং হলো জায়গা+ ওয়েবসাইট ডিজাইন= আপনার ওয়েবসাইট। তো একটা ওয়েবসাইট চালু করতে কি কি লাগে? ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন।

৬. ডোমেইন না কিনলে কি পেইজ খোলা যাবে না?

-- ডোমেইন কেনার সাথে ফেসবুক পেইজ খোলার কোনো সম্পর্ক নাই। আপনি যদি ভাবেন শুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমেই ব্যবসা করবেন তাহলে আপনার ডোমেইন কেনার দরকার নাই৷ যদিও এটা একটা মহা বোকামি হবে। ডোমেইন আপনি কিনবেন আপনার গোল ঠিক করে। আপনার ব্যবসাকে আপনি কোন অবস্থানে নিয়ে যেতে চান। যদি ব্যবসা বড় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটা ওয়েবসাইট লাগবে। এই ওয়েবসাইট বানাবার আপাতত সামর্থ্য না থাকলেও ডোমেইন অন্তত কিনে রাখুন।

৭. সবই তো বুঝলাম কিন্তু ডোমেইন কিনবো কোথা থেকে?

-- অনেক প্রতিষ্ঠান আছে ডোমেইন হোস্টিং এর কাজ করে। তাদের থেকে কিনতে পারেন। এখানে লিংক দেওয়া নিষেধ। এফ-কমার্সের জন্য ডোমেইন দরকার নেই। যদি ওয়েবসাইট খোলার চিন্তা থাকে তবেই ডোমেইন কিনবেন

আজ তাহলে এ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

No comments

Powered by Blogger.