ব্যবসায় সফল হওয়ার টিপ্স
ব্যবসা সফল হওয়ার ১০ টি পরামর্শ
নিজের ইচ্ছা মত যেকোন স্বাধীন ব্যবসা আপনাকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আরো দ্বায়িত্বশীল করে তুলতে সাহায্য করবে। ব্যবসা নিজের সেরাটাকে ভেতর থেকে বাহিরে আনতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১ পছন্দের ব্যবসা
আপনি যে ব্যবসায় স্বাছন্দ্যবোধ করেন সেই ব্যবসা করবেন বলে ঠিক করেন। মনে রাখতে হবে আপনার ভালোবাসার ব্যবসাটিই করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে করে আপনি ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিক উৎসাহী হয়ে উঠেন। এতে আপনি ব্যবসা উপভোগ করার পাশাপাশি আপনি হতে পারেন একজন সফল ব্যবসায়ী। আপনার দীর্ঘমেয়াদে যে ব্যবসা নিয়ে থাকতে চান সেই ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন।
২ মূলধন ঠিক করুন
যখন আপনি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিবেন,তখন স্বতন্ত্র বাজেটের কথা ভুলবেন না। আপনার মাথায় রাখতে হবে আপনার কাছে পরিমান মত নগদ টাকা আছে কিনা দৈনিক খরচের জন্য, যেমন ভাড়া, খাদ্য, গ্যাস, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি। এই খরচ গুলোকে আলাদা করে রাখুন এবং আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যান।
৩ গুনমান নিশ্চিতকরন
নতুন ব্যবসায়ের জন্য আপনার পণ্যগুলি অবশ্যি ভাল মানের রাখতে হবে। গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে তাদের প্রুতিশ্রুতি মত পণ্য সরবারহ করুন। এতে দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা তৈরী হবে।
৪ অভিজ্ঞদের কাছে ব্যবসায়িক পরামর্শ নেয়া
যখন আপনি ব্যবসা শুরু করতে গেলে ব্যবসায়ের নিবন্ধনের পাশাপাশি কিছু আইনী কাজ, কর, হিসেবের দিকেও নজর রাখতে হবে। এগুলো যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করতে হলে ,আপনাকে পুর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীর কাছে পরামর্শ নেয়া জরুরী। এরপর অনেক সময় পাবেন আপনার পন্য ও সেবার মানোন্নয়নের কাজে মনোযোগ দেবার জন্য এবং গ্রাহকের এর সাথে বোঝাপড়া করার। এর সাথে সাথে আপনার দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে খরচ কমাবে।
৫ গ্রাহককে গুরুত্ব দেয়া
সফল ব্যবসায়ী হতে হলে লভ্যাংশের চিন্তা না করে গ্রাহক কে সেবা দেয়ার বিষয়ে নজর দিতে হবে। গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির ফলে পণ্য ও সেবার মান অনেক ভাল হবে আ আপনাকে ব্যবসায়ে এনে দিতে পারে দীর্ঘমেয়াদী লাভ।
৬ সহযোগী ও অংশীদারিত্ব
প্রায় সকল ব্যবসায় আপনাকে গ্রাহকের সাথে চুক্তি বদ্ধ হতে হবে। অংশিদারিত্বে গিয়ে অথবা সহযোগী নিয়ে পণ্যের মান বৃদ্ধি করলে অপরপক্ষও এতে লাভবান হবে। এতে করে আপনার প্রতি গ্রাহকের আস্থার পাশাপাশি আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে যা আপনার দীর্ঘমেয়াদী লাভের পথ সুগম করবে।
৭ রেকর্ড সংরক্ষন
ব্যবসার সব হিসাব অবশ্যই খাতা কলমে নথিভুক্ত করে রাখবেন ,যাতে ব্যবসার আর্থিক অবস্থান বিশ্লেষন করতে পারেন। এতে করে আপনার সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি কী হবে তা জানতে পারবেন। রেকর্ড বিশ্লেষণ করে একটি ভাল ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এছাড়াও, অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যেমন সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা, গ্রাহক পরিষেবা, বিপণন, সময়সূচী এবং প্রশাসনিক কর্মকান্ড ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।
৮ সৃজনশীল হতে হবে
আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার উন্নতির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আর তাই আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে এবং নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে হবে। এছাড়াও প্রতিযোগীদের সম্পর্কে সবকিছ জানতে হবে ,যাতে আপনি ব্যবসায়ে সবচাইতে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং ভাল লাভ করতে পারেন।
৯ বিনয়ী হতে হবে
নতুন অংশীদার, বিনিয়োগকারী, গ্রাহকগণের সাথে কোনও নতুন পণ্য ও সেবা আলোচনা করার সময় বিনয়ী থাকুন। কেননা বিনয়ীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাভবান হন।চুক্ত করার সময় তাদেরকে আপনার ধারনাটি খুলে বলুন এতে চুক্তি সহজে সম্পন্ন হবে।কখনো কখনো ভাল চুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, এতে ভেঙ্গে না পড়ে ব্যবসা সুসংগঠিত করুন যা আপনাকে সফল ব্যবসায়ী হতে সাহায্য করবে।
১০ সময়োপযোগী হওয়া
বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর।প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নিজের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে হবে। সংশয়ে না থেকে সময়ের সাথে নিজেকে মানায় নিতে হবে।যখন আপনি সময়ের সাথে পরিবর্তনযোগ্য হবেন, তখন ব্যবসায় আরো অধিক সাফল্য পাবেন। আপনার ব্যবসায়ের সুবিধার্থে পরিবর্তনগুলির অভিযোগ না করে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ধারণা খুঁজে বের করুন। এতে করে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারেন।
আজ তাহলে এ পর্যন্ত , সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
নিজের ইচ্ছা মত যেকোন স্বাধীন ব্যবসা আপনাকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আরো দ্বায়িত্বশীল করে তুলতে সাহায্য করবে। ব্যবসা নিজের সেরাটাকে ভেতর থেকে বাহিরে আনতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১ পছন্দের ব্যবসা
আপনি যে ব্যবসায় স্বাছন্দ্যবোধ করেন সেই ব্যবসা করবেন বলে ঠিক করেন। মনে রাখতে হবে আপনার ভালোবাসার ব্যবসাটিই করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যাতে করে আপনি ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিক উৎসাহী হয়ে উঠেন। এতে আপনি ব্যবসা উপভোগ করার পাশাপাশি আপনি হতে পারেন একজন সফল ব্যবসায়ী। আপনার দীর্ঘমেয়াদে যে ব্যবসা নিয়ে থাকতে চান সেই ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন।
২ মূলধন ঠিক করুন
যখন আপনি ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিবেন,তখন স্বতন্ত্র বাজেটের কথা ভুলবেন না। আপনার মাথায় রাখতে হবে আপনার কাছে পরিমান মত নগদ টাকা আছে কিনা দৈনিক খরচের জন্য, যেমন ভাড়া, খাদ্য, গ্যাস, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি। এই খরচ গুলোকে আলাদা করে রাখুন এবং আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যান।
৩ গুনমান নিশ্চিতকরন
নতুন ব্যবসায়ের জন্য আপনার পণ্যগুলি অবশ্যি ভাল মানের রাখতে হবে। গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে তাদের প্রুতিশ্রুতি মত পণ্য সরবারহ করুন। এতে দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা তৈরী হবে।
৪ অভিজ্ঞদের কাছে ব্যবসায়িক পরামর্শ নেয়া
যখন আপনি ব্যবসা শুরু করতে গেলে ব্যবসায়ের নিবন্ধনের পাশাপাশি কিছু আইনী কাজ, কর, হিসেবের দিকেও নজর রাখতে হবে। এগুলো যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করতে হলে ,আপনাকে পুর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীর কাছে পরামর্শ নেয়া জরুরী। এরপর অনেক সময় পাবেন আপনার পন্য ও সেবার মানোন্নয়নের কাজে মনোযোগ দেবার জন্য এবং গ্রাহকের এর সাথে বোঝাপড়া করার। এর সাথে সাথে আপনার দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে খরচ কমাবে।
৫ গ্রাহককে গুরুত্ব দেয়া
সফল ব্যবসায়ী হতে হলে লভ্যাংশের চিন্তা না করে গ্রাহক কে সেবা দেয়ার বিষয়ে নজর দিতে হবে। গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির ফলে পণ্য ও সেবার মান অনেক ভাল হবে আ আপনাকে ব্যবসায়ে এনে দিতে পারে দীর্ঘমেয়াদী লাভ।
৬ সহযোগী ও অংশীদারিত্ব
প্রায় সকল ব্যবসায় আপনাকে গ্রাহকের সাথে চুক্তি বদ্ধ হতে হবে। অংশিদারিত্বে গিয়ে অথবা সহযোগী নিয়ে পণ্যের মান বৃদ্ধি করলে অপরপক্ষও এতে লাভবান হবে। এতে করে আপনার প্রতি গ্রাহকের আস্থার পাশাপাশি আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে যা আপনার দীর্ঘমেয়াদী লাভের পথ সুগম করবে।
৭ রেকর্ড সংরক্ষন
ব্যবসার সব হিসাব অবশ্যই খাতা কলমে নথিভুক্ত করে রাখবেন ,যাতে ব্যবসার আর্থিক অবস্থান বিশ্লেষন করতে পারেন। এতে করে আপনার সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি কী হবে তা জানতে পারবেন। রেকর্ড বিশ্লেষণ করে একটি ভাল ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এছাড়াও, অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যেমন সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা, গ্রাহক পরিষেবা, বিপণন, সময়সূচী এবং প্রশাসনিক কর্মকান্ড ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।
৮ সৃজনশীল হতে হবে
আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার উন্নতির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আর তাই আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে এবং নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে হবে। এছাড়াও প্রতিযোগীদের সম্পর্কে সবকিছ জানতে হবে ,যাতে আপনি ব্যবসায়ে সবচাইতে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং ভাল লাভ করতে পারেন।
৯ বিনয়ী হতে হবে
নতুন অংশীদার, বিনিয়োগকারী, গ্রাহকগণের সাথে কোনও নতুন পণ্য ও সেবা আলোচনা করার সময় বিনয়ী থাকুন। কেননা বিনয়ীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে লাভবান হন।চুক্ত করার সময় তাদেরকে আপনার ধারনাটি খুলে বলুন এতে চুক্তি সহজে সম্পন্ন হবে।কখনো কখনো ভাল চুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, এতে ভেঙ্গে না পড়ে ব্যবসা সুসংগঠিত করুন যা আপনাকে সফল ব্যবসায়ী হতে সাহায্য করবে।
১০ সময়োপযোগী হওয়া
বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর।প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নিজের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে হবে। সংশয়ে না থেকে সময়ের সাথে নিজেকে মানায় নিতে হবে।যখন আপনি সময়ের সাথে পরিবর্তনযোগ্য হবেন, তখন ব্যবসায় আরো অধিক সাফল্য পাবেন। আপনার ব্যবসায়ের সুবিধার্থে পরিবর্তনগুলির অভিযোগ না করে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন ধারণা খুঁজে বের করুন। এতে করে আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারেন।
আজ তাহলে এ পর্যন্ত , সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
No comments