আপনি কি বেকার
বেকার হলে কি করবেন জেনে নিন
বেকারত্ব নিয়ে আপনার ভাবনা।
পৃথিবীর যে কোন দেশের জন্য বেকারত্ব হচ্ছে একটি বড় অভিশাপ। তা ছাড়া যে কোন ধর্ম বেকারত্ব সাপোর্ট করেনা ,
চাকরি বা সন্তোষজনক চাকরি পাওয়া নিয়ে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের মধ্যে হতাশা ক্রমেই বাড়ছে।সবাই গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর চাকরি নামক সোনার হরিণের পিছনে ছুটছে।
কেউ চাকরি না পেলেই আমরা ভেবে নিচ্ছি, তাঁর যোগ্যতা নেই। ভাবখানা এমন, পৃথিবীতে যোগ্যতাই যেন চাকরি পাওয়ার একমাত্র উপায় বা মাধ্যম। আবার যাঁরা চাকরিতে সন্তোষজনক মাইনে পাচ্ছেন না, তাঁদের ক্ষেত্রেও বলা হচ্ছে, যোগ্যতা বা দক্ষতার ঘাটতির কারণেই তাঁরা বেতন কম পাচ্ছেন। কিন্তু ব্যাপারটা কি সব সময় তা-ই?
আমি ব্যক্তিগত জীবনে ৫বছর একটি বেসরকারি ব্যাংকে ছিলাম।বাচ্চাদের অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে আমি জব ছেড়ে দেই।স্বাবলম্বী হতে হলে জব করতে হবে এমন কোন কথা নেই।যে কোন কাজ করে নিজের আইডেন্টি তৈরি করতে পারাটাই বড় কথা। আমার কাছে----
চাকরি করবোনা চাকরি দিবো।
চাকরি হচ্ছে অন্যের সপ্ন বাস্তবায়ন করা
আর ব্যাবসা হচ্ছে নিজের সপ্ন বাস্তবায়ন করা।
আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেছি উদ্যোক্তা হয়ে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার।
বেকারত্ব নিয়ে আমাদের ভাবনা
বাংলাদেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির মূল কারণ এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। কারণ শিক্ষাব্যবস্থার সাথে কর্মক্ষেত্রের কোন মিল নেই। এজন্য কর্মমুখী বা কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
আশা করছি দেশী পণ্যের সিলেবাস এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বেকারত্ব দূর করতে উদ্যোক্তা হওয়ার বিকল্প নেই। দেশে বেকারত্ব দূর করার অনেক অবলম্বন আছে, অনেক খাত আছে। নিজের ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সম্ভব বেকারত্ব দূর করা। কৃষি খাত, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি শিল্প, গাভী-ছাগল পালন ইত্যাদিতে উদ্যোক্তা হয়ে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। এতে নিজের বেকারত্ব দূর হয় পাশাপাশি সমাজের অন্য বেকারদেরও কর্মসংস্থান হয়। অল্প পুঁজি আর মনোবল নিয়ে হওয়া যায় সফল উদ্যোক্তা।
তাই শুধুমাএ চাকরীর পেছনে পড়ে না থেকে কম্পিউটার কোর্স এবং কারিগরি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই নিজের ভীত মজবুত করতে পারি।
বর্তমান যুগ হচ্ছে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির যুগ। তাই ছাত্রদের পড়ালেখার পাশাপাশি ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
বেকারত্ব দূর করার আর একটা উপায় হচ্ছে নারী-পরুষদের আর্থিক ও মানষিক ভাবে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করতে হবে। উদ্যোক্তা হবার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স লাগেনা।যে কোন বয়সেই স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।
একটি সময় ছিল যখন উদ্যোক্তা হবার জন্য মোটিভেশননাল কোন গ্রুপ ছিলনা , ছিলনা ই-কমার্স সম্পর্কে জানার ও শেখার কোন গ্রুপ ছিলনা এখন ফেসবুক,ইউটিউব, সবকিছুই আছে সুতরাং জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যান
সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
No comments