অল্প সময়ে ব্যবসায় সফল হবেন কি করে
অতি দ্রুত ব্যবসায় সফল হতে এ নিয়মগুলো মেনে চলুন
কাজ শুরু করার সাথে সাথেই কি সফলতা আসে? নিশ্চয় না। জীবন যেমন পুষ্পশয্যা নয় তেমনি সফলতাও রাতারাতি ধরা দেয় না। সফলতাকে অর্জন করে নিতে হয়। কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজের সঙ্গে লেগে থাকতে হয়। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন তাদের সফলতার পেছনে রয়েছে ভাঙ্গা গড়ার বিরাট ইতিহাস।
পৃথিবীর সফল ব্যক্তিদের আমরা সবাই চিনি কিন্তু আমরা কি জানি তাদের সফলতার পেছনের গল্পগুলো?আমরা অনেকে তা যানি না তা-
আজ একজন সফল হওয়া ব্যক্তির আলোচনা করবো যে ব্যর্থতার বিশাল পাহাড় পেড়িয়ে কীভাবে সফলতার জনীবনযুদ্ধে জয়ী
চীনের ব্যবসায়ী, আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা সারা পৃথিবীর ব্যবসায়ী ও উদ্যাক্তাদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম, আদর্শের নাম। প্রশ্ন হলো জ্যাক মা কি রাতারাতি সফল হয়েছেন?
না, রাতারাতি সফল হননি। তাঁর সফলতার পেছনে রয়েছে ব্যর্থতার করুণ কাহিনী। তিনি বার বার ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়েছেন কিন্তু কখনো ভেঙ্গে পড়েননি, সফলতার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে হেঁটে গিয়েছেন দুর্গম পথে
চীনের জাতীয় কলেজে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হতে সময় লেগেছে তিন বছর। যেখানে বছরে মাত্র একবার সুযোগ দেয়া হয়, সেখানে জ্যাক মার লেগেছে তৃতীয় চান্স। হাভার্ডে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন দশবার কিন্তু প্রতিবারই তাকে প্রত্যাখাত হতে হয়েছে।
হোঁচট খেতে হয়েছে চাকুরী বাজারেও। ছোট বড় প্রায় ত্রিশটি কোম্পানিতে আবেদন করেও কোন সুফল আসেনি। বরাবরের মত প্রত্যাখাত হতে হয়েছে। পুলিশের চাকুরীতে আবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন এমনকি তার শহরে কেএফসি চালু হলে সেখানেও আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন
আলিবাবার সফলতার আগে আরো দুটো উদ্যেগে খুব খারাপ ভাবে ব্যর্থ হন। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। সফলতার স্বপ্ন দেখেছেন দিনের পর দিন। তাইতো আলিবাবা বর্তমানে বিজনেস টু বিজনেস,
বিজনেস টু কাস্টমার, কাস্টমার টু কাস্টমার সার্ভিস দেয়া কয়েকশত বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। ফোর্বসের “রিয়েল টাইম নেট ওর্থ” এর হিসাব অনুযায়ী জ্যাক মার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় চৌত্রিশ বিলিয়ন ডলার।
আমরা কেউ রাতারাতি সফল হবো না কস্ট না করলে জীবনে কিছু পাওয়া যায় না , সুতরাং কষ্ট করে যান একদিন অবশ্যই ফলাফল পাবেন ৷ সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
No comments