প্রচন্ড গরমে যে কাপড় আপনার শরীরকে শান্তি দিবে

 আজকে কথা বলবো কাপড় নিয়ে এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ                           টিপ্স থাকবে আজকে


আশা করছি সবাই ভালো আছেন, বাহিরে প্রচন্ড গরম, যেন বাহিরে বের হলেই গায়ের চামড়া পুড়ে যায়, গায়ের কাপড় যেনো গায়ে কামড় দিতে থাকে। তাই এমন সিজনে বাটিকের কাপড়ের ব্যতিক্রম কোন কিছু হতেই পারে না। তাই কথা বলতে চাচ্ছি বাটিকে আরাম এবং বৈচিত্র্য নিয়ে।

বাটিকের কাপড়ে আরাম আর বৈচিত্র্য দুটোই মিলবে

বাটিক শুনতেই কি আপনার মনে পড়ে সাদা কাপড়ের ওপর নানা রকম আলপনার নকশা? বাটিক কিন্তু এতে আটকে নেই মোটেও। কিছুদিন আগেও বাটিকের চল সীমাবদ্ধ ছিল মোম বাটিকে। সময়ের সঙ্গে বাটিকের পোশাকে এসেছে নানা রং ও ঢঙের বৈচিত্র্য। নকশায় এসেছে নতুনত্ব, সঙ্গে বাঙালিয়ানার ছাপ তো থাকছেই। গরমে সুতি কাপড়ে বাটিকের কাজ করা হালকা রঙের পোশাক আপনাকে দিতে পারে সারা দিনের স্নিগ্ধতা। কিশোরী থেকে শুরু করে কর্মজীবী নারীদেরও বাটিকের বাহারি পোশাকগুলো বেশ মানিয়ে যায়। সুতির ওপর বাটিকের কাজ করা পোশাক এই গরমে স্বস্তিদায়ক তো বটেই, সেই সঙ্গে গরমের ফ্যাশনেরও এক দারুণ অনুষঙ্গ।

কাপড় কিনে বাটিক করিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তৈরি পোশাক কেনার প্রতিই এখন ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। বাটিকের গজ কাপড় পাওয়া যায় বেশ সুলভে। তাই গজ কাপড় কিনে অনেকেই বানিয়ে নেন নিজের পছন্দমতো পোশাক। বাটিকের শাড়ি যেমন পরতে পারেন প্রতিদিনের প্রয়োজনে, তেমনি পরতে পারেন উৎসব-অনুষ্ঠানেও। বিশেষ করে সিল্কের ওপর বাটিক প্রিন্টের শাড়ি আপনাকে যতটা স্বস্তি দেবে, ততটাই করবে আকর্ষণীয়। সালোয়ার-কামিজ-ওড়নায় বাটিকের অনবদ্য কাজ পোশাকে আনে দারুণ মাধুর্য, সঙ্গে দেশীয় আবেশ জুড়ে যায় ব্যক্তিত্বে। জিনস, লেগিংস বা জেগিংসের সঙ্গে বাটিকের ফতুয়া বা টপ পরতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যেই।
নতুন নতুন নকশা আর স্বল্পমূল্যের জন্য বাটিক ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় বরাবরই স্থান করে নেয়। এই গরমে ফ্যাশন হাউসগুলোয় বাটিকের সালোয়ার-কামিজ, ওড়না, ফতুয়া ও শাড়ি—সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে। তবে গরমে স্বস্তিদায়ক বলে বাটিকের শাড়ির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। ফ্যাশন হাউস স্টুডিও এমদাদের ডিজাইনার এমদাদ হকও বললেন এমনটাই। বর্তমানে মোম বাটিক অনেকটা উঠে গেলেও হ্যান্ড বাটিক, টাই–ডাই কিংবা ব্লক বাটিকের বেশ চল রয়েছে। হ্যান্ড বাটিকের কাজ করা রং-বেরঙের ওড়না, ফতুয়া, কামিজ সব বয়সেই সমান মানানসই। কয়েকটি রঙের ব্যবহারে তৈরি ওড়না বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে পরার সুযোগ থাকে বলে চাহিদাও থাকে বেশি।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, শুধু মেয়েদের পোশাকই নয়, ছেলেদের বাটিকের হাফ হাতা শার্ট, পাঞ্জাবি আর ফতুয়ারও চল রয়েছে। প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপ আর রোদের তাপে বাটিকের সুতি পাঞ্জাবি বা ফতুয়া যেমন দেয় বাড়তি আরাম, এগুলোর নকশায়ও রয়েছে স্নিগ্ধতার ছাপ। ক্যাজুয়াল বা সেমি-ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে বাটিক প্রিন্টের হাওয়াই শার্ট অনেকেই বেছে নেন। বিশেষ কোনো উৎসবে বাটিকের পাঞ্জাবি এখন যতটা আরামদায়ক, ঠিক ততটাই ট্রেন্ডি।

আজ তাহলে এ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

No comments

Powered by Blogger.