অনলাইন ব্যবসায় কাস্টমার ধরে রাখার কার্যকরী টিপ্স

 

আমরা যারা উদ্যোক্তা আছি বা উদ্যোক্তা হওয়ার পথে তাদের সবার জন্যই কাস্টমার হলো লক্ষি। কাস্টমার ই হলো উদ্যোক্তা জীবনের প্রাণ। তাই কাস্টমার কে সহজ ভাবে খাতির করাই যায়।এতে করে ক্রেতা বিক্রেতা ২ জনের মধ্যেই গড়ে উঠে ভালো একটা সম্পর্ক।  কি কি করা যায় তা বলছি নিচেই।


কাস্টমার খাতির :


১। প্রথমত কাস্টমার এর সাথে ভালো ব্যাবহার করতে হবে। অনলাইনে কিন্তু কাস্টমার কথা বলার সময় আপনার মুখ দেখছেনা। শুধু আপনার ব্যাবহার ই উনি পাচ্ছেন। তাই সেটা করতে হবে সতর্কতার সহিত। কথায় আছে __ " ব্যাবহারে বংশের পরিচয়"।


২। তারপর আসি পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত কাস্টমার কে জানানো।আমার পণ্য সম্পর্কে সব কিছু খোলে বলতে হবে। আর সেই সাথে  যা যা খরচ পরবে সব কিছুই পণ্য পাঠানোর আগে কাস্টমার কে বলতে হবে। এতে করে পরবর্তীতে কোনো ঝামেলার আশংকা থাকেনা।


৩। কাস্টমার কে পণ্য পাঠানোর পর পণ্যের ডেলিভারি রসিদ এর ছবি পাঠানো যায় যাতে কাস্টমার নিশ্চিন্তে থাকে যে আমি কোনো ধাপ্পাভাজ এর পাল্লায় পরিনি।


৪। এরপর যা করণীয় সেটা হলো পণ্য পৌঁছে যাওয়ার পর কাস্টমার থেকে জিজ্ঞেস করা কেমন লাগলো। উনার কেমন লেগেছে এসব তদারকি করা। এতে করে কাস্টমার নিজেকে স্পেশাল ফিল করবেন৷ 


৫।যদি কাস্টমার সন্তুষ্ট না হয় তাহলে তাকে আশ্বাস দেয়া যেতে পারে যে আমি পুনরায় আমার পণ্য দিতে রাজি আছি।

এতে করে নিজের ক্ষতি হলেও পরবর্তীতে উনি রিপিট কাস্টমার হয়েও যেতে পারেন।


৬। এরপর হলো ছোট খাটো কিছু গিপট এর কথা। যেটা আমরা প্যাকেজিং এর ভেতর এ পাঠাতে হবে। আমরা সবাই কিন্তু সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করি। আর তাই কাস্টমার কে তার পণ্যের সাথে   ছোট একটা গিফট প্রদান করে অনেক খুশি করা যায়।


৭। একটা উইশ নোট পাঠানক যায়। যেটা একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা আরোও দৃঢ় করে তুলবে।


৮। পরিশেষে সবকিছু মিটমাট হয়ে গেলেও মাঝে মধ্যে খবর নেয়া যায় কাস্টমার এর। 

এতে করে করে কাস্টমার আপনাকে অনেক কেয়ারফুল একজন মানুষ ভাববে।


উপরে উল্লেখিত এসব করতে কিন্তু তেমন ক্ষতি কারো হয়না। তারপরও যদি আমরা এসব করি কাস্টনার সেটিসফ্যাকশন অনেক গুণ বেড়ে যায়। 


আজ তাহলে এ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

No comments

Powered by Blogger.